কত প্রাণের বিনিময়ে নিরাপদ হবে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক

ইমরান আল মাহমুদ, উখিয়া •


কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধিই পাচ্ছে। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে নেই কোনো উদ্যোগ।

দীর্ঘ ৭৯কিলোমিটার সড়কটি খানা খন্দক সংস্কার করে চলাচল উপযোগী করে তুলতে সংস্কার কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। চালকদের অসচেতনতা ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের কারণে প্রতিনিয়ত কেউ না কেউ সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন। অনেকেই গুরুতর আহত হয়ে কাতরাচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতালে।

গত ৫ই ডিসেম্বর সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ হারান উখিয়া মালভিটা পাড়ার মোঃ ইব্রাহীম। গত ২১শে ডিসেম্বর সড়ক দূর্ঘটনার কবলে পড়ে নিহত হন রুমখাঁ চৌধুরী পাড়ার ভুলু। ৪ঠা জানুয়ারি ট্রাকের ধাক্কায় সড়কে প্রাণ হারান মোটরসাইকেল আরোহী র‍্যাবের লেন্সনায়ক তরিকুল ইসলাম।
এরকম আরো অসংখ্য দূর্ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে।
স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, অদক্ষ চালকদের প্রশিক্ষণের আওতায় এনে দক্ষ করে তোলা প্রয়োজন।

জাসাস উখিয়া উপজেলার সহ সভাপতি নুর হোছাইন নয়ন জানান,সড়ক প্রশস্তকরণের পর থেকে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো ও চালকদের অসচেতনতার ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনায় চলে যাচ্ছে তাজা প্রাণ। চালকদের সচেতন করে তোলার আহবান জানান তিনি।

উখিয়া নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ও ব্যাংক এশিয়া সোনারপাড়ার সিইও মোর্শেদুল হক ভুট্টো বলেন,যত্রতত্র টমটম ও সিএনজির অদক্ষ চালকরা যত্রতত্র বিচরণ করছে। যার ফলে সড়কে দূর্ঘটনার কবলে পড়ছে সাধারণ যাত্রীরা। বড় যানবাহনের অতিরিক্ত মাত্রার গাড়ি চালানোর ফলে দূর্ঘটনা ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান তিনি।

তবে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের প্রত্যেক স্টেশনে লাইসেন্সবিহীন যানবাহন ও অদক্ষ চালকদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্কদের হাতে স্টিয়ারিং চলে যাওয়ায় সাধারণ যাত্রীরা ঝুঁকির মধ্যে যাতায়াত করছে। এসব অপ্রতিরোধ্য শিশু চালক ও যানবাহনের বেপরোয়া গতি বন্ধ করা না গেলে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক লাশের স্তূপে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয় সচেতন মহলসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ।